থার্ডআই ডেস্ক:

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে সদ্য বিদায় নিলেও এখনও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ছাড়েননি বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

বরং,পশ্চিম জেরুজালেমের বেলফোর রোডে অবস্থিত সরকারি বাসভবন ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন রক্ষণশীল লিকুদ দলীয় প্রধান নেতানিয়াহু। খবর টাইমস অব ইসরাইলের।

খবরে বলা হয়, ক্ষমতা হারানোর এক সপ্তাহ পরও প্রধানমন্ত্রীর মতো করেই সরকারি বাসভবন ব্যবহার করছেন নেতানিয়াহু। তবে বেনেটের সঙ্গে সমঝোতায় বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগ পর্যন্ত এখানে নিজস্ব প্রয়োজনে বৈঠক না করার বিষয়ে তিনি সম্মতি জানিয়েছেন।

খবরে বলা হয়, গত সপ্তাহেই আগামী ১৪ দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করে দেওয়ার আহ্বান জানান নতুন প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট। শেষ পর্যন্ত শনিবার বেনেটের সঙ্গে বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে সমঝোতা হয় নেতানিয়াহুর।
তবে আগামী ১০ জুলাইয়ের মধ্যে ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

নেতানিয়াহু ২০০৯ থেকে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। পুরো সময়জুড়েই এ বাসভবনেই ছিলেন তিনি। এর আগে প্রথম দফায় ১৯৯৯ সালে নির্বাচনে হারার পর সরকারি বাসভবন ছাড়তে তার ছয় সপ্তাহ বেশি সময় লেগেছিল।

গত ১৪ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নাফতালি বেনেটের দায়িত্ব গ্রহণের একদিন পরেই নেতানিয়াহু এই বাসভবনে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক দূত নিকি হ্যালি এবং জায়নবাদের সমর্থক সংগঠন ক্রিশ্চিয়ান ইউনাইটেড পর ইসরাইলের নেতা প্যাস্টর জন হ্যাগির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করেন।

তবে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন খালি হলেও ভবনে উঠছেন না নাফতালি বেনেট। বরং তিনি সরকারি দায়িত্ব পালনে কার্যালয় হিসাবেই একে ব্যবহার করবেন। তার স্ত্রী ও চার সন্তান রানানা শহরে তাদের বাসভবনেই থাকবেন।

গত সপ্তাহে নতুন সরকার গঠন করেন বেনেট। সরকার গঠনের বিষয়ে রোববার নেসেটের অধিবেশনে সদস্যদের আস্থা ভোট নেওয়া হয়। আস্থা ভোটে সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য জোট সরকারের পক্ষে সমর্থন দেন। এতে ১২ বছর দীর্ঘ শাসনের পর বিরোধী দলের আসনে গিয়ে বসেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।

ইসরাইলে সরকার গঠনে কোনো দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় গত দুই বছরের মধ্যে চার বার দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২৩ মার্চের চতুর্থ নির্বাচনের পরও কোনো পক্ষ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।

ইসরাইলি আইন পরিষদ নেসেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের জন্য ১২০ আসনের মধ্যে ৬১ সদস্যের প্রয়োজন হয়। দেশটিতে সরকার গঠনের প্রশ্নে নির্বাচনের পর ইসরাইলি নেসেটের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেন ইসরাইলি প্রেসিডেন্ট রিওভেন রিভলিন।