থার্ডআই ডেস্ক

১৪ বছর পেরিয়ে গেল, তবুও বিচারের মুখ দেখল না পাকিস্তানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলার। আজও অন্ধকারেই রয়ে গেল পাকিস্তানের ডাকসাইটে নেত্রী বেনজির ভুট্টোর হত্যারহস্য। সোমবার ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকীতে দেশটির জনপ্রিয় দৈনিক ‘দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’র এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।

২০০৭ সাল। স্বৈরশাসক জেনারেল পারভেজ মোশাররফ তখন ক্ষমতায়। সেনাশাসনবিরোধী উত্তেজনায় পাকিস্তান উত্তাল। তারই অংশ হিসাবে ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডির লিয়াকত বাগের বিশাল জনসমাবেশে বক্তৃতার মাঝপথেই হত্যার শিকার হন বেনজির ভুট্টো। ঘটনাস্থলেই বেনজির ভুট্টোসহ তার দল পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) ২০ জন নেতাকর্মী নিহত হন, আহত হন প্রায় ৭০ জন। ২০১৭ সালের ৩১ আগস্ট বিশেষ সন্ত্রাসবিরোধী আদালতের (এটিসি) বিচারক মুহাম্মদ আসগর খান রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে মামলার রায় ঘোষণা করেন। পাঁচ আসামিকে খালাস দেন বিচারক।

পারভেজ মোশাররফকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। তার বিরুদ্ধে স্থায়ী গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ করা হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিকে মৃত্যুবার্ষিকী পালনে পাকিস্তানজুড়ে এদিন বিরাট কর্মসূচি গ্রহণ করে বেনজির ভুট্টোর ছেলে ও পিপিপির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। সিন্ধুপ্রদেশের লারকানা শহরে ৬০ ফুট চওড়া মূল মঞ্চ সাজানো হয়।

সেখানে বিলাওয়ালসহ বক্তব্য দেন নেতারা। অনুষ্ঠানের নিরাপত্তা রক্ষায় নিয়োজিত করা হয় ৩০ জন এসএসপি পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তা। ৮০ জন ডিএসপি পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং নারী পুলিশদেরও। স্থাপন করা হয়েছে ১৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা। অনুষ্ঠানস্থলের প্রবেশপথগুলোতে বসানো হয়েছে ৭০টি গেট। এ উপলক্ষ্যে জনসভায় মনিটর করতে বসানো হয়েছে একটি কন্ট্রোলরুম।