মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ঈদযাত্রায় কাটা-যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় থাকলেও নেই যানবাহনের কোন দীর্ঘ সারি। যানবাহন কম থাকা ও যাত্রীদের চাপ বেশি থাকায় অনেক সময় কোনো প্রকার যানবাহন ছাড়া শুধু যাত্রী নিয়েই ফেরি ছাড়তে দেখা গেছে।
শক্রবার ভোর থেকে গাবতলি, সাভার, আশুলিয়াসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে লোকাল বাসসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে পাটুরিয়া ঘাটে আসছে ঘরমুখো মানুষেরা। এর পর ফেরি কিংবা লঞ্চে করে তার নদী পার হয়ে গন্তব্যের দিকে যাচ্ছেন।
সাধারণ যাত্রীরা ঘাট এলাকায় টিকিট কাটার পরপরই ফেরিতে উঠতে পারছেন। তবে কাটা যাত্রীরা কিছুটা বিড়ম্বনা হচ্ছে। গাবতলি থেকে যারা পাটুরিয়া এসে ভেঙে ভেঙে অর্থাৎ যানবাহন পরিবর্তন করে গন্তব্যে যাবেন, সেই সব কাটা-যাত্রীদের ঘাট এলাকা থেকে প্রায় ১/২ কিলোমিটার আগেই পরিবহন থেকে নামিয়ে দেয়া হচ্ছে। ফলে সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তাদের লঞ্চ কিংবা ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
এছাড়া ঘাট এলাকায় বিগত দিনগুলোর তুলনায় দূরপাল্লা বাস ও ছোট গাড়ির চাপ একটু বাড়লেও নদী পারাপারের যাত্রীদের সংখ্যাই বেশি দেখা গেছে। তবে, যানবাহনগুলোকে নৌরুট পার হতে গতকালকের চেয়ে সময় একটু বেশি লাগছে।
বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয়ের ডিজিএম শাহ মো. খালেদ নেওয়াজ বলেন, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরি রয়েছে ২১ টি। এর মধ্যে ২০ টি ফেরি দিয়ে যানবাহন ও যাত্রী পারাপার করা হচ্ছে। শুক্রবার সকাল থেকেই যাত্রী ও যানবাহনের সংখ্যা বেড়েছে। তবে কাটা যাত্রীদের সংখ্যাই বেশি।