নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজধানীর বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই বেড়েছে সবজির দাম। জ্বালানি, সার ও বীজের দাম বাড়ায় সবজি উৎপাদন এবং পরিবহন ব্যয় উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ফলে প্রায় সব সবজির দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। যদিও এ সময়টাতে শীতকালীন সবজির শেষ হওয়ায় সেগুলোর দম কম থাকার কথা।
গ্রামের বাজারে পাইকারিতে এসব সবজির দাম কম থাকলেও শহরে কয়েকগুণ বেশি দরে তা বিক্রি হচ্ছে। শুধু সবজি নয়, আমিষের ঘাটতি মেটানোর ডিম-মাছ ও সবধরনের মাংসের দামও বেড়েছে। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতির এ সময়ে খাদ্য চাহিদা মেটাতে আরও বেশি চাপের মধ্যে পড়েছে সাধারণ মানুষ।
অতিরিক্ত দাম বাড়ায় সবজি কিনতেও হিমশিম খাচ্ছে মধ্যবিত্ত পরিবার। গত দুই সপ্তাহ ধরেই লতি ও করলা বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ১০০ টাকার ওপরে। দেশে উৎপাদিত এই দুটি পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি না থাকলেও এর মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানেন না কেউ। নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে এই দুই সবজি। শুধু লতি ও করলাই নয়, শিম, টমেটো, বেগুনের মতো সবজিও এখন হিসাব করে কিনতে হচ্ছে। এসব সবজি বিক্রি হচ্ছে কেজিতে ৪০-৮০ টাকা ওপরে। সব ধরনের সবজির দাম বাড়ায় সাশ্রয়ী মূল্যের আলুই এখন প্রধান ভরসা।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) রাজধানীর ফার্মগেট, হাতিরপুল, কাঁঠালবাগান ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৪০ টাকা কেজির নিচে কোনো সবজিই বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। টমেটো ও গাজর কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৪০-৪৫ টাকা। প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। এছাড়া কপি (ফুল-বাধা) ৩৫-৪০ টাকা, কাঁচ কলা হালি প্রতি ৩৫-৪০ টাকা, মান বিবেচনায় কাঁচামরিচ ও করলা ১২০-১৪০ টাকা ও ৩৫ টাকার পেঁয়াজ কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা করে।