ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতকে সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগেও বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণ করছেন বিত্তবানরা। উপজেলাজুড়ে এমন কর্মকাণ্ডে অনেক অভাবগ্রস্ত মানুষের মুখে ফুটেছে এক চিলতে হাসি।
এ বছর ত্রান বিতরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন উপজেলার তরুণ সমাজ। বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃত্বে থাকা এসব তরুণরা বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নৌকায় করে মানুষের দোরগোড়ায় ত্রান পৌঁছে দিয়েছেন। ত্রানের নামে ফটোসেশনের মহড়া চোখে পড়েনি খুব একটা। তাই বানভাসি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে এসব তরুণেরা প্রশংসা কুড়িয়েছেন সর্ব মহলে।
রজিবুর রহমান মুহেল পেশায় একজন প্রকৌশলী। তিনি সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন দীর্ঘ দিন। উপজেলার খুরমা উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে আগ্রহী মুহেল ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রায় শতাধিক মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। কুরবানির মাংস রান্না করে খাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণ করেছেন তিনি। ব্যক্তিগত উপার্জনের টাকায় ত্রান বিতরণ করে সন্তষ্ট নন মুহেল। তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, হাজার হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত। মানুষের দুর্দশা দেখলে সহ্য হয় না। ইচ্ছে আছে পরিবার ও আত্মীয়স্বজন থেকে ফান্ড কালেকশন করে আরো কিছু মানুষের পাশে দাঁড়ানোর।
উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের বাসিন্দা রুয়েল আহমেদ। সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের নেতা। তিনি তাঁর এলাকায় বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। নগদ অর্থ ও চাল-ডাল বিতরণ করেছেন তিনি। তবে তার মতে, এসব বিষয় গোপন থাকাই শ্রেয়। তাই গণমাধ্যমে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে কথা বলতে চাননি তিনি।
ছাতক পৌরসভার বাসিন্দা রিংকু তালুকদার। সিলেটে একটি সামাজিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত তিনি। প্রায় দেড় শতাধিক সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ত্রান বিতরণ করেছেন।
তরুণদের ইতিবাচক ভূমিকার ব্যাপারে জানতে চাইলে সমাজকর্মী ড. জুনেদ আহমদ থার্ডআই ডট রিপোর্টকে বলেন, একটা সমাজে অনেক অসঙ্গতির মধ্যেও এটা স্বস্তির খবর। এই তরুণ সমাজ যদি সমাজ ও রাষ্ট্রের নেতৃত্বে আসে তখনই আমরা ব্যাপকভাবে উন্নয়ন সাধন করতে পারবো। তরুণ সমাজের উন্নয়নের ফল গোটা সমাজ ভোগ করতে পারবে। আমাদের উচিৎ সকল ভাল কাজে এসব উদ্যমী তরুণদের সম্পৃক্ত করা।